আসসালামু আলাইকুম,
কি অবস্থা সবার?
এই আর্টিকেলে আমি কথা বলবো এমন ২৪ টি Android Tips & Tricks নিয়ে যা আপনার Android ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাকে আরো মজাদার করে তুলবে। তারই সাথে এগুলো জানা আপনার পক্ষে একান্ত জরুরী। আমরা সবাই জানি Android এ ব্যবহার করার জন্য প্রচুর Tricks আছে। সেটা যে কারনেই ব্যবহার করা হোক না কেন। Android এ যেসব Features আছে তা নিয়ে নিয়ে বই লেখা যাবে তবুও শেষ করা যাবে না।
ইউটিউবে এ নিয়ে প্রচুর ভিডিও আছে। এমনই ১০ টি ট্রিক ও টিপস এর কথা বলবো এই পোস্টে যা আপনার এন্ড্রয়েড ব্যবহার করার স্বাদ আরো বাড়িয়ে দিবে। আমি জানি এই মুহূর্তে যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা বেশিরভাগই অবশ্যই কোনো না কোনো এন্ড্রয়েড ব্যবহার করছেন। কারন আমাদের দেশে এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর সংখ্যাই বেশি। আপনি যেমন ইউজার (ব্যবহারকারী) হোন না কেন এই ট্রিকসগুলো আপনার ভালো লাগবে বলে আশা করছি।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক আমাদের আজকের টপিক।
০১. Chrome Flags :
আপনি যদি Google chrome/brave/kiwi এসব browser এর search bar এ গিয়ে chrome://flags এই লিখাটা টাইপ করেন তবে আপনি কিছু Experimental features পাবেন যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের chrome/brave/kiwi type এর ব্রাউজারগুলো আরো বেশি ফিচারের নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
কয়েকটি Chrome flags এর নাম ও তাদের কাজ বলছি। আপনারা চাইলে আমি এ নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট লিখতে পারি যেখানে এরকম আরো অনেকগুলো Chrome flags নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো আর তাদের কাজগুলো সম্পর্কেও আপনাদের সুন্দর ধারনা দিতে পারবো। আমি অনেকগুলো Chrome flags on করে রেখে ব্রাউজার ব্যবহার করি। আর এতে ব্রাউজিং করার আসল মজাটা উপভোগ করতে পারি। আপনারাও চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন Chrome এর এই ফিচারটি। কিছু Chrome flags এর বর্ননাঃ
#1) parallel downloading : এই flags টি enable করলে আপনারা আপনাদের ডাউনলোড স্পিড বাড়াতে পারবেন। এর কথা তো অনেকেই শুনেছেন। তাই না? যারা জানেন না তারা এই flags টি enable করে দেখতে পারেন।
#2) Smooth scrolling : যারা scroll করার সময় একটু ঝামেলা অনুভব করেন তাদের জন্য এই ফিচারটি। যদি scroll করার সময় একটু laggy অনুভব হয় তারা এই flags টি enable করে দেখতে পারেন। আমি ব্যবহার করি। আমার কাছে scrolling এ এখন সেই lag টা অনুভব হয় না।
#3) incognito screenshot : এই flags টির মাধ্যমে আপনারা incognito mode এ গিয়েও screenshot তুলতে পারবেন।
#4) Playback speed button : অনেকেই chrome এ এই ফিচারটিকে অনেক প্রয়োজনীয় মনে করেন কিন্তু এটা default ভাবে দেওয়া থাকে না। এই Flags টি enable করার মাধ্যমে আপনারা যখনই কোনো ভিডিও স্ট্রিমিং করবেন তখনই স্পিড বাড়ানো কমানোর option পাবেন যা সচরাচর সব ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় না।
এছাড়াও এমন প্রচুর flags আছে যা আপনাকে ব্রাউজিং করার ক্ষেত্রে ভিন্ন রকমের স্বাদ দিবে। এগুলো নিয়ে আমি ২ বছর আগে পোস্ট করেছি। যদি কারো প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমি আবার নতুন flags নিয়ে করতে পারবো। কমেন্টে তা জানাতে পারেন।
০২. Assistant Menu :
এটা বেশিরভাগ Samsung Phone এই আপনারা পেয়ে যাবেন Default ভাবে। Settings এ গিয়ে Assistant Menu লিখে search দিলেই পেয়ে যাবেন। নয়তোবা Settings এ গিয়ে Accessibility তে যান। এরপর Dexterity and interaction এ যান। এরপরই Assistant Menu পেয়ে যাবেন।
এই Assistant Menu এর কাজ কি?
এটি মূলত একটি Floating bar। এমন অনেক App ও Playstore এ আছে। Floating apps বা Floating Window লিখে search দিলেই পেয়ে যাবেন। বেশিরভাগ মানুষই Assistive Touch App টি ব্যবহার করে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানে না Samsung এর Android Phone গুলোতে এটা Default ভাবেই দেওয়া থাকে।
এই Assistant Menu এর মাধ্যমে আপনারা অনেক কাজই সহজেই করতে পারবেন। কি কি সুবিধা পাবেন?
১) আপনারা এখানে Cursor অথবা Mouse এর Option পাবে যার মাধ্যমে আপনারা আলাদা একটি mousepad ও cursor পাবেন। আপনার যদি বড় ফোন বা ট্যাব হয় তবে আপনি আপনার ফোনকে কম্পিউটার এর মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন Curson ও mousepad এর মাধ্যমে।
২) Screenshots তুলতে পারবেন যা Samsung এর Device গুলোতে দেওয়া থাকে না। বিশেষ করে পুরোনো J5,J2,J7 এরকম Device গুলোতে। আপনাকে স্ক্রিনশট তোলার জন্য বার বার Power key ও Home key চেপে ধরে রাখতে হবে না। এই Floating window তেই পেয়ে যাবেন সে option
৩) আপনার মোবাইলের যদি Back/Recent/Volume button/Home button কিংবা Power button নষ্ট হয়ে যায় তবে এই Floating bar টি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে এই কাজগুলো করতে।
বুঝতেই পারছেন দারুন একটা ট্রিক। এটা সবাই জানে না। আপনি জানলে অন্যদেরকে জানতে সাহায্য করুন। Third Party Apps থেকে বিরত থাকুন যতক্ষন আপনার ফোনেই Third party apps এর feature গুলো Default ভাবেই দেওয়া আছে।
০৩. Answering and Ending calls with home key or power key :
সবার ফোনেই এই Option টা আছে কি না জানি না। তবে অনেক ফোনেই এই Option টা আমি পেয়েছি। একটু বিস্তারিত বলি। এই Option টির কাজ হচ্ছে আপনার ফোনের Home button কিংবা Power Button এ Click করে কোনো Call আসলে তা Receive করতে পারবেন। অনেকে তাড়াহুড়োর সময় কল ধরতে দিয়ে অনেক সময় কলটি কেটে দেন এবং এতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি কিংবা দুটি Option ই যদি আপনি On করে দেন তবে সে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কল আসলে আপনার Power button কিংবা home button টিতে একটি চাপ দিবেন আর সাথে সাথে কলটি Receive হয়ে যাবে।
Call end করার জন্যেও এই দুটি button কে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে এর জন্যে সে Option টি settings থেকে On করতে হবে।
যাদের এই Option টি ফোনে নেই তারা এমন App Playstore এ পেয়ে যাবেন।
০৪. High Contrast Fonts :
এটা সব Android এই দেওয়া থাকে Default ভাবে। আপনি Settings এ গিয়ে Accessibility তে গেলেই পেয়ে যাবেন। অনেক সময় এটা Developer options এও দেওয়া থাকে। Developer option টি পাওয়ার জন্য আপনার Settings এ গিয়ে About Phone e গিয়ে Build Number এ ১০ বারের মতো একসাথে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন। প্রত্যেক ফোনে আলাদা আলাদা জায়গায় দেওয়া থাকে।
যাই হোক, এই Option টি তারা ব্যবহার করবেন যাদের চোখে একটু সমস্যা আছে বা চশমা ছাড়া চোখে লিখাগুলো ঝাপসা বোঝা যায়। আপনার যদি এমন সমস্যা না থাকে তবে আপনার চেনা জানা কেউ (হতে পারে আপনার বাবা-মা কিংবা কাছের কেউ) থাকলে তাদেরকে এই Option টি enable করে দিবেন। তারা লিখাগুলো স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবে।
০৫. Magnification Gestures :
আমি জানি অনেকেই আমার মতো ছোটবেলায় এই Option টি Enable করে অনেক সমস্যায় হয়তো ভুগেছেন ??। কিন্তু এর আসল কাজ কি?
তার আগে বলে দেই এই Option টির কাজ কি। এর কাজ হচ্ছে স্ক্রিনের যেকোনো অংশে দুইবার ট্যাপ করলে জুম করা। আবার দুইবার ট্যাপ করলে জুম হওয়া হতে বেরিয়ে আসা।
অনেক সময় এমন Apps আমরা ব্যবহার করি যেগুলোতে জুম করার ফিচারটি নেই। কিংবা অনেক সময় ছোট লিখা বুঝা যায় না। এই Option টি Enable করার মাধ্যমে আপনারা স্ক্রিনের যেকোনো স্থানে জুম করতে পারবেন।
এটি পাবেন Accessibility তে।
০৬. App Permissions :
আমি জানি অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। যেকোনো App ইন্সটল করার আগেই কোনো কিছু না দেখে না শুনে যা যা Permission চায় সব Enable করে দেন।
এটি করা মোটেই উচিত না। কারন আপনার Microphone কিংবা Camera এর permission নিয়ে যেকোনো App আপনার কথাবার্তা কিংবা আপনার ভিডিও করে গোপনে এসব তথু কালেক্ট করে নেয়। তাই যেন তেন App কে আপনার Permission দিতে বিরত থাকুন।
আপনি যেসব App কে যে যে Permission গুলো দিয়েছেন এটা দেখতে আপনি Settings এ গিয়ে App permissions কিংবা permission লিখে search দিন। এরপর যেসব Apps এ আপনার মনে হয় এই এই permission গুলোর কোনোই প্রয়োজন নেই সেগুলো disable করে দিন। যেমনঃ camera, location, microphone ইত্যাদি।
০৭. Owner Information :
আচ্ছা মনে করুন আপনি কোনো এক দূর্ঘটনায় পড়লেন কিংবা আপনার ফোনটি রাস্তায় কোথাও হারিয়ে গেল। সে মূহূর্তে যদি কোনো স্বহৃদয়বান ব্যক্তি যদি আপনার ফোনটি আপনাকে ফেরত দিতে চায় তবে সে আপনার ঠিকানা কিভাবে পাবে। এই Setting টির মাধ্যমে আপনি আপনার Home screen কিংবা Lockscreen এ ছোট্ট করে আপনার নাম, নাম্বার ও ঠিকানাটি লিখে রাখবেন। যদি এমন কোনো সমস্যায় পড়ে যান তবে যদি ভাগ্য ভালো থাকে তবে আপনার এই ছোট্ট ইনফরমেনশনটি আপনার জীবন বাচিয়ে দিতে কিংবা আপনার হারানো ফোনটি পেতে আপনাকে সাহায্য করবে।
Settings এ গিয়ে আপনি Owner information লিখে search দিলেই পেয়ে যাবেন এই Option টি।
০৮. Cached Data :
অনেকেই দেখবেন আপনার ফোনের স্টোরেজ কোনো কারন ছাড়াই ফুল হয়ে যাচ্ছে। আপনি কোনো কিছু ডাউনলোড না করা সত্তেও এমনটা হচ্ছে।
আপনি যদি Storage এ গিয়ে Cached Data তে যান তবেই বুঝতে পারবেন আপনার ফোনের স্টোরেজ কেন বা কোথা থেকে ফুল হচ্ছে।
এর সমাধান কি?
এর সমাধান হচ্ছে আপনি Cached Data clear করে দিন। আবার পুনরায় Cached Data জমলে আবার clear করে দিবেন। চিন্তা করবেন না এতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনো ডেটাই লস হবে না। বেশি সন্দেহ থাকলে আপনার ডেটা কোনো মেমোরি কার্ড বা কোনো ক্লাউড স্টোরেজ যেমনঃ Google Drive, Mega তে রেখে দিতে পারেন।
০৯. Developer options :
আমি জানি এ নিয়ে অনেক পোস্ট আছে। আর এ নিয়ে আলাদা একটি পোস্টও লেখা যাবে। তবে যে Option গুলো Enable না করলেই নয় সেগুলোর কথাই আমি বলছি।
#1) Running services : এখানে গিয়ে দেখতে পারবেন আপনার ফোনের Background এ কতটি App চলছে। আর সেগুলো আপনি নিজে নিজে এক এক করে বন্ধও করতে পারবেন।
#2) Animation scale :
আপনি একসাথে এমন তিনটি Option পাবেন যাদের নামঃ Window animation scale, Transition Animation Scale, Animator duration scale.
আমি যতবারই কোনো নতুন ফোন সেটআপ দিই তখনই এই তিনটি Option এই 0.5x দিয়ে রাখি যা default ভাবে 1x দেওয়া থাকে।
তবে এর কাজ কি?
এর কাজ হচ্ছে আপনার ফোনে কোনো নতুন App বা window যখন আপনি Open করেন তখনই একটি animation Effect দেখতে পান না? যেটি একটি ধীরগতির মনে হয়। আপনি যখন 0.5x দিয়ে দিবেন তখনই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। অনেকেই চাইলে এটা off ও করে রাখতে পারবেন। 0.5x কিংবা off করে রাখার কারন হল এতে Animation গুলো খুবই দ্রুতভাবে কাজ করে।
আমি জানি অনেকেই এই সেটিংটি সম্পর্কে জানে। তবুও যারা জানেন না তাদের জন্যেই বলছি।
#3) limit background processes :
আপনি চাইলে আপনার ফোনের বেকগ্রাউন্ডে কতটি এপ্লিকেশন সর্বোচ্চ চলতে পারবে সেটির একটি লিমিট সেট করে দিতে পারবেন এই অপশনটির মাধ্যমে। যাদের Ram কম ফোনে তাদের উপকারে আসবে আশা করছি। তবে যারা heavy user বা যাদের ফোন ভালো তাদেরকে পরামর্শ দিবো এই অপশনটি না অন করতে।
১০. Google Translate Conversation :
আমি জানি না অনেকেই জানে কি না যে গুগল ট্রান্সলেটে একটা ফিচার আছে যা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে আপনার নিজের ভাষা ছাড়াও অন্য ভাষাকে বুঝতে।
আমি একটু বিস্তারিত বলছি।
Google Translate open করার পর নিচে একটি Option দেখতে পাবেন যেখানে একটি microphone দেওয়া আছে। এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার নিজের ভাষায় যা বলবেন তা-ই লিখা হয়ে যাবে এবং তা অন্য যেকোনো ভাষায় আপনি চাইলে Translate ও করতে পারবেন। অনেকেই হয়তোবা জানেন আবার অনেকেই হয়তোবা জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্যে বলছি।
আপনি যদি অলস স্বভাবের মানুষ হয়ে থাকেন বেশি লিখলে হাত ব্যথা করে বা এমন কিছু তবে আপনি এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার বিদেশি ভাষায় কথা বলার দক্ষতাও অনেকটাই উন্নত হবে এবং আপনি সঠিকভাবে উচ্চারন করতে পারছেন কি না সেটিও সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন।
১১. Playstore ছাড়া Google থেকে Third Party যেসব Untrusted Website গুলো আছে সেগুলো থেকে কোনো ফাইল Download বা Install না করাঃ
এই পদ্ধতিটির কথা বলার পর যারা আমার আগের পোস্টগুলো দেখেছেন তারা আমাকে কথা শোনাতে পারেন। তাই আগেই আমি সবকিছু ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। প্রথমত, Playstore এর সব Apps ই ১০০% Secure না। দ্বিতীয়ত, আমি বলেছি Untrusted Website থেকে File Download না করতে। Google এ অনেক ভালো ভালো Website আছে যেগুলোতে ম্যালওয়্যার থাকে না। আমি এ কথা কেন বলছি? কারন আমি নিজেই ঐসব ওয়েবসাইট থেকে Apps Download করি। Website গুলো নিয়ে আমি Already পোস্ট লিখেছি। আপনারা আমার প্রোফাইল থেকে দেখে আসতে পারেন।
যদি আপনি Sure না হোন আপনার ফোনে Installed থাকা সব Apps Secure কি না তবে আপনি Google Play Store এর Play Protect On করে রাখতে পারেন। যদি কোনো App এ সমস্যা থাকে তবে Google Play Store থেকে আপনাকে Warning দিয়ে দিবে।
এখানে অনেকেই বলতে পারেন যে Google Play Store ঐসব Apps গুলোতেই Warning দেয় যেগুলো Play Store এ নেই। এই কথাটা ১০০% যুক্তিযুক্ত নয়। কারন সবসময় সব App এর ক্ষেত্রে এটা কাজ করে না। আপনি নিজেই Research করে দেখতে পারেন আমার কথাটি সত্য কি না।
১২. Mod/Cracked/Patched/Unlocked Apps ব্যবহার না করাঃ
এ বিষয়টি নিয়ে আমি আগেও অনেকবার বলেছি। আবারো বলছি। যদিও আমি নিজেই অনেকগুলো Mod Apps Download করার Website নিয়ে পূর্বেই পোস্ট দিয়েছি। তবুও আবারো বলছি। আপনারা Untrusted Website থেকে Mod Apps ডাউনলোড করে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অনেক সময় Trusted Websites গুলোতেও malware/spyware এর ঝুকি থাকে।
এছাড়াও বিশেষ করে Telegram এ যে Group/Channel গুলো ফ্রি তে Mod Apps Upload করে সেগুলোও যে ১০০% Secure এমনটাও কিন্তু নয়। আপনি নিজেই কোনো Virus Scanner দিয়ে কিংবা আপনার ফোনে যে Default ভাবে Antivirus software দেওয়া থাকে (যদি থাকে) সেটি দিয়েও চেক করে দেখতে পারেন যে Telegram Group/Channel গুলোতে দেওয়া mod apps গুলো ১০০% Secure virus free কি না। তাহলেই বুঝতে পারবেন।
যদিও আমি নিজেই প্রচুর Telegram Groups/Channel Suggest করেছি আপনাদের পূর্বে। কিন্তু যখন আমি এই পোস্টটি লিখছিলাম তখন আমার মাথায় এ বিষয়টি হঠাৎ করে চলে আসে যে টেলিগ্রামে যে Mod apps গুলো পাওয়া যায় এগুলো Secure কি না। পরে চেক করে দেখলাম যে না অনেক Apps ই Secured না।
তাই আপনি নিজেও এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকুন ও আপনার চেনা পরিচিত কেউ থাকলে তাদেরকেও সতর্ক করুন যেন তারা এসব Free mod apps provide করে এমন Telegram group/channel গুলো থেকে সাবধান হয়ে যায়।
এগুলো কেন বলছি?
আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না এই Mod apps গুলো আপনাকে কিভাবে বোকা বানিয়ে আপনার তথ্যকে নিজেদের কাছে কালেক্ট করে নিচ্ছে কিংবা আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে।
আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা থাকে এমন Mod apps গুলো থেকে দূরে থাকবেন। যেমনঃ
1) আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা আপনার ডেবিট ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি এসব তথ্যগুলো যদি আপনার ফোনে থাকে তবে আপনি Mod apps ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং ব্যাংক ও টাকাপয়সা Related যে apps গুলো আছে এগুলোর Mod apps গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
2) Gallary, File Manager এসকল Mod/cracked Apps গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা এসব Apps ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ যেসকল ফাইলের তথ্যগুলো আছে সেগুলো Access করার Permission দিয়ে দিচ্ছেন এসকল App গুলোকে। আপনার অজান্তেই আপনার Wifi এর মাধ্যমে আপনার সকল ছবি,ভিডিও কিংবা অন্য কোনো ফাইল নিজেদের দখলে নিয়ে নিবে। আপনি টেরও পাবেন না।
3) Browser এর Mod apps গুলো ব্যবহার করবেন না। আমি মনে করি Playstore ছাড়া অন্য কোথাও থেকে Browser ডাউনলোড করে ব্যবহার করাই উচিত না। যদিও Playstore এ থাকা Uc Browser এর মতো কিছু Browser নিয়েও Security & Data নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। তাই আমি বলবো Third Party Websites গুলো থেকে Browser ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন না। কারন আপনার ফোনের ব্রাউজারেই আপনার বেশিরভাগ তথ্য Saved থাকে। আপনার Social Media, mail ইত্যাদি যত গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আছে এসকল তথ্য কিন্তু আপনার ব্রাউজারেই থাকে। তাই আমি বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলবো।
4) Social Media (Facebook,Twitter,Instagram,Snapchat ইত্যাদি) এসকল Mod apps ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারন এতে আপনার তথ্য ফাস হওয়ার Chances সবচেয়ে বেশি। আমি Recommend করবো Playstore এর বাইরে কোনো Third Party Website থেকে Social Media apps ডাউনলোড না করতে। কখনোই এই কাজ করবেন না। যদি আপনার ডেটা হারানোর ভয় থাকে তবে তো একেবারেই না।
১৩. যেসব Apps Playstore এ 5★ Rating দেওয়া এবং Download খুবই কম সেসব Apps download করা থেকে বিরত থাকুন:
কারন এসব Apps থেকেই Virus/spyware বেশি পাওয়া যায়। আর বেশিরভাগ Review ই যেগুলো দেখা যায় এই App গুলোর সেগুলো বেশিরভাগই Fake হয়। Playstore এ 100 থেকে শুরু করে 10k+ Downloads এর যে Apps গুলো আছে সেগুলোতেই বেশিরভাগ সময় Malware/spyware পাওয়া গেছে এমনটা বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। আপনি নিজেও Google করে দেখতে পারেন। তাই এসকল Apps এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিবো।
১৪. আপনার Apps & System Update রাখুনঃ
আপনার System যত Updated থাকবে ততই আপনার ডিভাইসটি ভালো চলবে। আপনার স্মার্টফোনের যে ব্র্যান্ডটি আছে তারা নিয়মিত বিভিন্ন Bugs/issues Solve করে বিভিন্ন Software Update এর মাধ্যমে। তাই নিয়মিত আপনার System কে Update করে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার ফোন Fast & Healthy থাকবে।
এছাড়াও চেষ্টা করবেন আপনার ফোনে থাকা সকল Application গুলো নিয়মিত Update আসলে সাথে সাথে Update করে রাখতে। কেননা আপনার ফোনে থাকা apps গুলো যত পুরনো হবে ততই হ্যাকাররা হ্যাক করতে পারবে আপনার তথ্যকে খুব সহজেই। System যত দূর্বল ততই হ্যাকারদের কাছে সুযোগ হ্যাক করার। কোম্পানিগুলো যখন নতুন নতুন Update বের করে তখন তারা bugs এর সাথে বিভিন্ন Security issues গুলো দূর করে সেগুলো fix করে security গুলোকে Strong করে তোলে। তাই এই কাজটি আপনি অবশ্যই করবেন।
১৫. Adblocker ব্যবহার করুনঃ
আমি জানি অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে কমেন্ট সেকশনে এসে হাসাহাসি করবে। কিন্তু আপনারা কি এটা জানেন যে বেশিরভাগ ভাইরাস এই Adblocker On না করার কারনেই আসে? হয়তোবা বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু এটা একটু হলেও সত্য। আপনি যখন কোনো Untrusted Website এ প্রবেশ করেন তখন বিভিন্ন Ads Show করে। ভুলে Ads এ ক্লিক করার ফলে অনেক সময় প্রচুর Tabs Open হয়ে যায় আর এতে আপনার ফোনের Performance এর উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে আপনার ফোনটি যদি একটু Cheap Level এর হয়। তাই আপনি সবসময়ই আপনার ব্রাউজারে Adblocker ব্যবহার করবেন। এতে আপনার লাভটাই বেশি হবে।
১৬. App Permissions না পড়ে Permission দিয়ে দেওয়া কিংবা Install করাঃ
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে কাজটি সবাই করেন সেটি হচ্ছে না পড়েই Permission দিয়ে দেওয়া। এ কথা কেন বলছি?
মনে করুন, আপনি একটি Gallary App Download করলেন। তো এই App টি কি কি Permission চাইবে বলে আপনার মনে হয়?
Camera,File manager এগুলোর Permission ই তো চাইবে। তাই না?
কিন্তু যখনই দেখবেন App টি Location,Contacts এগুলোর Permission চাইছে তখনই বুঝবেন এই App টিতে কিছু সমস্যা আছে। কারন এই App টির যে কাজ সে কাজের Permission না চেয়ে যে কাজটি এই App এর না সেসকল Permission এই App টি চাচ্ছে। এটি Games এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আপনারা দেখে থাকবেন অনেক Games ই উলটা পালটা Permission চেয়ে বসে যা একেবারেই Relatable না। তাই এগুলো থেকেও বেচে থাকার চেষ্টা করবেন।
এখন অনেকে এটা বলবে যে ভাই আমার এত সময় নেই যে আমি Apps গুলোর হাজার হাজার Terms & Conditions পড়বো কিংবা কি কি Permission এই App টির লাগবে এসব পড়বো। আপনার যদি একেবারেই সময় না থাকে তবে আপনি আপনার Brain ও Common Sense কে ব্যবহার করবেন। আমি উপরে যে উদাহারনটি দিয়েছি এমনভাবেই যে Software টি আপনি Install করতে চাচ্ছেন বা Install করেছেন সেই App এ কোনো কিছু Fishy থাকলে যত দ্রুত সম্ভব Uninstall/Delete করে দিন। কেননা আপনার তথ্য যদি আপনার কাছে কোনো সস্তা এপ্লিকেশনের থেকে প্রিয় হয়ে থাকে তবে আপনি কোনটা বেছে নিবেন এটা আপনার উপরই নির্ভর করবে।
১৭. এমন অ্যাপ ইন্সটল করবেন না যেটিতে কোনো লোগো নেই:
এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনি হয়তো এমন অ্যাপ দেখতে পাবেন যেগুলোতে কোনো লোগো নেই। এই অ্যাপগুলো কখনোই ইন্সটল করবেন না। কারণ এই অ্যাপগুলোতে ম্যালওয়্যার থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এই App গুলো কোথায় পাওয়া যায়?
বেশিরভাগ Untrusted Third party Websites গুলোতেই এই App গুলো দেখা যায়। আমি একটি উদাহারনের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার করি।
যেমনঃ মনে করুন আপনার Hoichoi App টি লাগবে। হতে পারে App টি Mod করা অথবা ads free। যেমনই হোক, আপনি গুগলে সার্চ করে বা কারো দেওয়া লিংকে ঢুকে Application টি ডাউনলোড করলেন। কিন্তু এরপর App টি Install করলেন আপনার ফোনে। কিন্তু Install করার সময় App টির কোনো Logo দেখতে পেলেন না। কোনো Logo একেবারেই নেই। Install করার পর আপনার সাথে নানান ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। যেমনঃ আপনি আর সেই App টি আপনার ফোনের Launcher/Home screen এ আর দেখতে পাচ্ছেন না। কেন? কারন App টি নিজে নিজে Hide হয়ে গিয়েছে। এটি একটি Spyware/malware App। অথবা App টিতে ঢোকার পর আপনার ফোন বন্ধ হয়ে গেলো আর চালু হচ্ছে না, কিংবা আপনাকে উলটা পালটা পারমিশন Allow করতে বলছে, কিংবা আপনাকে আরো Apps Install করতে বলছে, কিংবা App টি Automatically বন্ধ হয়ে গেলো। এসবই Virus/malware/spyware এর লক্ষন। এসব Apps থেকে যত সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। আপনার তথ্য তো ফাস হবেই, তার সাথে আপনার ডিভাইসের যে কোনো ক্ষতি হবে না তার গেরান্টি কে দিবে? ঐ ওয়েবসাইটটি? নাকি ঐ অপরিচিত ব্যক্তিটি যে আপনার ভালো চায় বলে মনে করেন?
১৮. প্রয়োজন না পড়লে আপনার Wifi, Data Connection, Location, Hotspot ইত্যাদি বন্ধ রাখুনঃ
Wifi/data বন্ধ রাখতে বলছি কারন যদি আপনি আপনার ফোনে কোনো Malware কিংবা Spyware আছে এমন App Install করেও থাকেন তবে আপনি যখন আপনার Mobile data/wifi ব্যবহার করবেন না তখনই সেই সুযোগে আপনার ফোনের তথ্য ঐসকল App গুলো তাদের Cloud Server এর মাধ্যমে আপনার তথ্যগুলো অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিবে না এর গেরান্টি কে দিবে? আপনি?
আর তাছাড়াও অপ্রয়োজনীয় সময়ে wifi/data/location বন্ধ রাখলে এতে battery এর power save হয়। আর বিশেষ করে আপনি যখন মোবাইল charge এ দিয়ে ব্যবহার করছেন না তখন তো এসব অবশ্যই বন্ধ রাখবেন।
এ কথা কেন বলছি?
আমি আজ পর্যন্ত যত রকমের মোবাইল ইউজার দেখেছি তাদের মধ্যে বেশিরভাগই এই কাজ গুলো করে। অপ্রয়োজনে তারা wifi/location বন্ধ করে রাখে না। এমনকি Location তো অনেকেরই কখনোই কাজে লাগে না। তবুও বন্ধ করে রাখে না। এতে যে আপনার তথ্য Track করা হচ্ছে সেটিও আপনি বুঝতে পারছেন না।
১৯. মোবাইল ব্যবহার না করার সময় সকল Apps Background থেকে বন্ধ রাখাঃ
এই কাজের জন্যে আমি Already একটি App নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম। app টির নাম হচ্ছে Hibernator। পোস্টটি দেখে অনেকেই বলেছিলেম এখন বেশিরভাগ ফোনেই এটা Default ভাবে দেওয়া থাকে। এ কথা আমি আমার পোস্টেই বলেছিলাম।তবুও যাই হোক, আপনার কাজ হলেই হলো। আপনি যখন আপনার ফোন ব্যবহার করছেন না তখন যদি Background এ চলতে থাকা Apps গুলো বন্ধ করে রাখেন তবে আপনি তিনটি লাভ পাবেন।
1) আপনার ফোনের Battery Save হবে আর Battery Health ও ভালো থাকবে।
2) Malware/Spyware Apps থাকলেও সেগুলো Background এ আপনার তথ্য নিয়ে কিছুই করতে পারবে না। কারন সেগুলো বন্ধ থাকবে।
3) আপনার ফোনের Performance ভালো থাকবে।
২০. আপনার ফোনকে বছরে ২-৩ বার Full Reset/Factory Reset দিনঃ
এই কাজটি করার ফলে আপনার ফোনটি আরো ভালো কাজ করবে আর Performance টিকে থাকবে। আপনি চাইলে আপনার সমস্ত ডেটা Cloud Storage যেমনঃ Google Drive, Mega তে Backup করে রাখতে পারেন। আর তাছাড়া আপনার যদি একটি Memory Card থাকে তবে তো আরো ভালো।
২১. Booster/Cleanup Apps ব্যবহার না করাঃ
এ ধরনের Apps গুলো আপনার ফোনে ভাইরাস তো ছড়াবেই তার সাথে আপনার ফোনের Performance কে আরো কমিয়ে দিবে। অনেকেই ভেবে থাকেন যে এসব Apps আপনার ফোনের Performance কে Boost করে। কিন্তু এটি মোটেই সত্য নয়। আপনি নিজেই Research করে দেখতে পারেন।
২২. Free VPN ও Mod VPN ব্যবহার না করাঃ
আমি জানি অনেকেই এটার বিরোধিতা করবেন। কিন্তু এটা সত্য যে ফ্রি ভিপিএন গুলো আপনাকে Ads তো দেখায়ই তার সাথে আপনার ফোনে যে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার দিয়ে দেয় না এরই বা গেরান্টি কে দিবে? আর Mod vpn আমি নিজেও ব্যবহার করি। কিন্তু তবুও আমি বলবো যাদের সামর্থ্য আছে তারা Premium Vpn কিনে ব্যবহার করুন। কারন আপনার ডেটাকে কিন্তু আপনি ভিপিএন দিয়েই প্রচার করে থাকেন।
আপনি চাইলে আপনার নিজের VPN নিজেই বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার সকল সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যাবে।
২৩. Hidden Folders/ Files Delete করাঃ
আপনি যদি আপনার File Manager কে স্ক্যান করে দেখেন তবে প্রচুর Hidden Folders ও Hidden files দেখতে পাবেন যেগুলো কোনো কাজের না।
এসব ফোল্ডারগুলোতে সাধারনত নামের শুরুতে একটি Dot (.) থাকে। আপনি চাইলে আপনার ফোল্ডারটি এই ডট ব্যবহার করার মাধ্যমে Hide করতে পারবেন। যাই হোক, আপনি আপনার File Manager এ গিয়ে Show Hidden Files/Folders (যে নামেই থাকুক) Option টি Enable করেই দেখতে পারবেন সকল Hidden Folders/Files।
২৪. আপনার মোবাইলে গোপনে কোন App ( যা আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন ) Tracker বসিয়ে আপনার উপর ২৪ ঘন্টা নজরদারী করছে কি না তা জেনে নিন!
Privacy নিয়ে একটা দ্বন্দ আর তর্ক যতদিন পর্যন্ত পৃথিবী ইন্টারনেটের দুনিয়ার সাথে Connected আছে ততদিন পর্যন্ত থেকেই যাবে। কেননা দিনের পর দিন ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি দুটিই যত উন্নত হচ্ছে ততই মানুষের Privacy নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। আজ আমি এই পোস্টে এমনই Privacy নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো। তার আগে সমস্যার কথাটা জেনে নেওয়া যাক।
সমস্যাটার নাম হচ্ছে Trackers. আপনার ফোনে থাকা বিভিন্ন Apps এর মধ্যে কোন App টি আপনার ফোনের সকল তথ্য Collect করছে ২৪ ঘন্টা আপনার অজান্তেই, কিংবা আপনার ফোনে সেসকল Apps এর কি কি Permission যা আপনি নিজের অজান্তেই Allow করে দিয়েছেন নয়তোবা সে Apps গুলো নিজেরাই সেই Permission গুলো Allow করে নিয়েছে যা সম্পর্কে আপনার ধারনাও নেই এসব সম্পর্কে আপনাকে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো এবং তার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো এই পোস্টটির মাধ্যমে।
যেসব সমস্যার কথা বললাম সেগুলো দেখা ও সমাধানের পথ আবার একটি App এর মাধ্যমেই। দাড়ান, গালি দিতে আসবেন না। আগে পুরোটা পড়ুন তারপর উলটা পালটা কথা বলতে আসুন। আপনি জিজ্ঞাসা করতেই পারেন, ভাই আপনি App থেকে বাচতে আবার App ই সাজেস্ট করছেন এটা কেমন কথা?
আমি যে App টির কথা বলছি সেটি একটি Open source App. আমি Gitlab এর লিংক দিয়ে দিবো আপনারা নিজেরা চেক করে নিয়েন।
এখন মূল কথায় আসি। এই App টির কাজ হচ্ছে আপনার ফোনে থাকা Apps গুলোর মধ্যে কোন App গুলো আপনার অজান্তেই আপনার সকল কাজকর্ম Monitor করছে, আপনার কাজগুলোকে Track করছে কিংবা কি কি Permission নিয়েছে আপনার ফোন থেকে সব এই একটি App এর মাধ্যমেই দেখতে পারবেন। আর এর সাথে যদি আপনার কোনোটি নিয়ে সন্দেহ হয় তবে সেই সন্দেহটি আপনি এই App এর মাধ্যমেই দূর করতে পারবেন।
প্রথমেই App টির নাম ও লিংক দিয়ে দিই।
App Name : Warden
App link : https://gitlab.com/AuroraOSS/AppWarden
App link : Apkmirror
এবার আসি এই App টির মাধ্যমে আপনারা কি কি করতে পারবেন।
প্রথমেই আপনি App টিতে ঢুকে Scan করবেন সকল App যেগুলো আপনার ফোনে আছে। এরপর Scan শেষ হলে সবগুলো App এর Result আপনারা দেখতে পাবেন একটি Chart আকারে। এখানে কোন কোন Application কতটুকু পরিমানে কি কি Track করছে তার Full Details আপনারা পেয়ে যাবেন। এরপর দেখতে পারবেন কি কি Permission এর Access সে App গুলো নিয়েছে আর কি কি permission নেয়নি। এখান থেকে আপনি চাইলে সন্দেহজনক কোনো Permission disable করে দিতে পারবেন।
প্রধান কাজটি হচ্ছে কোন কোন App Tracker বসিয়ে রেখেছে সেগুলো Monitor করতে পারা। App টি যা যা Monitor করতে পারবে তা হচ্ছেঃ
১) Activities
২) Providers
৩) Services
৪) Receivers
৫) Permissions
এছাড়াও কোন App কখন বা কোন দিন আপনি ইন্সটল করেছিলেন এগুলোও দেখতে পারবেন। এরপর আপনার ফোনে যদি কোনো App Hide করা থাকে যা সম্পর্কে আপনি জানেন না সেটাও দেখতে পারবেন। আপনি চাইলে System Apps গুলোও দেখতে পারবেন যে কোনো সন্দেহভাজন App আছে কি না।
যা যা বললাম তার স্ক্রিনশট নিচে দিয়ে দিচ্ছিঃ
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
ইনশাল্লাহ দেখা হবে পরের কোনো পোস্টে।
ততক্ষনের মতো ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।
THIS IS 4HS4N
LOGGING OUT……
The post ২৪টি দরকারী Android Tips & Tricks যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত! (Ultimate Collection Don’t Miss!) appeared first on Trickbd.com.
0 comments: