জীবনে আপনি আপনার চারপাশে একটি দল পাবেন যারা সর্বদা আপনার সমালোচনায় মুখর থাকবে। গভীর পর্যবেক্ষণের দ্বারা আপনার ভালো কাজটির খুঁত বের করবে।
যখন কেউ আপনার নামে কুৎসা রটাবে, অনর্থক আপনার নামে সমালোচনা করবে, তখন আপনি ধৈর্যহারা হবেন না, হতবিহ্বল হয়ে পড়বেন না, সবর করবেন।
এই সবরের ফল সুমিষ্ট। হযরত আয়িশা (রাঃ)’র ব্যাপারে দেওয়া মুনাফিকদের অপবাদের কথা কি মনে আছে? আজ থাকছে সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আলোচনা।
আপনার ত্রুটিযুক্ত কাজটিকে ফলাও করে প্রচার করে বেড়াবে যাতে আপনাকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে দেওয়া যায়, যাতে আপনি হতাশ হয়ে পড়েন, আপনার মন যাতে বিষিয়ে ওঠে।
এসব কিছুই তারা আপনার প্রতি ঈর্ষা আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে করে থাকে কারণ আপনার অবস্থান তাদেরকে পীড়া দেয়।আপনার গ্রহণযোগ্যতা তাদের মনে বিষাক্ত ফলার মত আঘাত করে আপনাকে আপনার অবস্থান থেকে নামিয়ে আনার চিন্তায় তারা সদা বিভোর থাকে।
কিভাবে অন্যদের চোখে আপনাকে খাটো করা যায়, কিভাবে অন্যদের মনে আপনার ব্যাপারে সন্দেহের বীজ বুনে দেয়া যায়। এ নিয়ে তাদের যত চিন্তা।
যখন কেউ আপনার নামে কুৎসা রটাবে অনর্থক আপনার নামে সমালোচনা করবে তখন আপনি ধৈর্য হারা হবেন না, হতবিহ্বল হয়ে পড়বেন না সবর করবেন।
সেই সবরের ফলে সুমিষ্ট।
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার এর ব্যাপারে তারা মুনাফিকদের অপবাদের কথা মনে আছে? একবার এক সফরে তিনি কাফেলা থেকে একটু পিছিয়ে পড়েন, তিনি যে কাফেলা থেকে ছিটকে পড়েছেন সেটা কেউ বুঝতে পারেনি। এরপর সেই সঙ্গে প্রান্তরে তিনি ঠিক কি করবেন এমন ভাবনার দোলা চলে সময় যেতে লাগলো।
একসময় তিনি সেখানটায় ঘুমিয়ে পড়েন, পরে সাফওয়ান ইবনে সুলামি ঐ পথ অতিক্রম করার সময় আয়েশা রাঃ তাকে দেখতে পান ,এবং তাকে সাথে নিয়ে পুনরায় কাফেলায় যোগ দেন।
এই ঘটনাকে নিয়ে কুৎসা রটিয়ে বেড়ায় মুনাফিকদের সরদার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ,সে প্রশ্ন তুলে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার পবিত্র চরিত্র নিয়ে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য মুনাফিকদের এই কুৎসা এই সমালোচনা এবং তিরস্কার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার মাঝে সাময়িক দূরত্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারছিলেন না সমালোচকদের তিনি ঠিক কি জবাব দিবেন, কিভাবে বা প্রমাণ করবেন যে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু একজন সতি সাধী নারি তাছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই যা প্রচার করে বেড়াচ্ছে তার সত্য মিথ্যা ব্যাপারেও তিনি সন্ধিহান।
তিনি কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করলেন, এমন দোটানা পরিস্থিতি এমন বিপন্ন সময়ে তিনি এক মহামহীম আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করলেন, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ও তাই করলেন। কারো সাথে কোন বিরোধ করেননি কোথাও উচ্চবাচ্য করেননি। চোখের জল ফেলে কেবল আল্লার কাছে নিজের সমস্ত অভিযোগ সমস্ত বাসনা পেশ করলেন।
আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তায়ালা কি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিংবা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে নিরাশ করেছেন? হতাশ করেছেন ? মুনাফিকদের বিরুদ্ধে সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সাহায্য করেননি? অবশ্যই করেছেন।
ওহী নাযিল করে আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার চরিত্রের ব্যাপারে মুনাফিকদের সকল ষড়যন্ত্রকে নশ্চাত করে দিলেন।
বাংলায় অনুবাদ করলাম-
নিশ্চয়ই যারা এই অপবাদ রটোনা করেছে তারা তোমাদেরই একটি দল, এটাকে তোমরা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর মনে করো না।
বরং এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।
তাদের প্রত্যেকের জন্য আছে প্রতিফল ,যতটুকু পাপ সে করেছে। আর এ ব্যাপারে যে নেতৃত্ব দিয়েছে তার জন্য আছে মহাশাস্তি।
এটা যে কি অপোবাদ কুৎসা এবং জিঘাংসা সেটা আল্লাহ সুবাহানাহুওয়া তা’য়ালা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ তার মুমিন ব্যক্তিদের সাহায্য করে থাকেন, কখনো স্পষ্ট সাহায্য আবার কখনো বা অস্পষ্ট সাহায্য।
এদের ব্যাপারে কখনোই হতাশ হবেন না ,এদের কথায় মন খারাপ করবেন না, ভেঙে পড়বেন না, হতভঙ্গ হবেন না ,এদের কথা কিংবা বক্তব্যের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না, শুধু সবর করবেন আল্লাহর উপর ভরসা করে তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।
নিজের এবং তাদের হিদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন, ব্যাস আপনার কাজ কেবল এতোটুকুই, এরকম অবান্তর সমালোচনায় পতিত হলে নিজের সাথে কথা বলুন।
ভেবে দেখুন তো আপনার ইখলাস তার নিয়ত আপনার কাছে পরিশুদ্ধ মনে হয় কিনা? যদি অন্তরের ভেতর থেকে এই কথা প্রতিধ্বনিত হয় যে আমি তো এই কাজ আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্যই করেছি। তাহলে নিশ্চিন্ত মনে আপনার পরবর্তী কাজে মনোযোগ দিন।
এরকম বিশুদ্ধ নিয়তের কারণে ভুল কাজটার জন্য আপনার আমলনামায় হয়তো সওয়াব যোগ হয়ে যাবে।
মন খারাপের দিনগুলোতে আল্লাহর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন- কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, সালাতের সিজদার মাধ্যমে, আল্লাহ কে বলুন তিনি যেন আপনার অশান্ত মন থাকে প্রশান্ত করে দেন।
তাকে অনুনয়ে বিনয় করে বলুন বুকের মধ্যে যে কালবৈশাখী ঝড় আপনার মনের উঠোন টাকে তছনছ করে দিচ্ছে। সেই সেই কালবৈশাখী তিনি যেন থামিয়ে দেন ,সেখানে যেন রহমতের বারিধারা প্লাবিত হয়।
একটিবার নিজের জীবনে কুরআন কে জায়গা করে দিন , দেখবেন জীবনের গতিবাদ কিভাবে পাল্টে যায়। কুরআনের শ্বাস নির্যাস একবার নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করেই দেখুন না দেখবেন আপনার জীবনটা এক অন্যরকম শীতলতায় ভরে উঠেছে।
দুনিয়ার মানুষ যে অন্তর ভেঙে দেয় আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার সেই অন্তর ভালোবাসার প্রলেভে জোড়া লাগিয়ে দেন।
Hip hop + Sakura id sell op id Price : 7k
ডিল যেভাবে করতে পারবেন
ফেস টু ফেস ও অনলাইন নিতে পারেন Contract Facebook: Click here
আজকের মত এখানে ই শেষ করছি আশা করছি খুব শিগগিরই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছি সেই পর্যন্ত সাথেই থাকুন ট্রিকবিডির ধন্যবাদ।
The post যখন কেউ আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করে। appeared first on Trickbd.com.
0 comments: