নিরাপত্তা নিশ্চিত করার টিপস…….
সারা বিশ্বে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা সকলেই আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করি। কিন্তু কখনও কখনও এই তথ্য নিরাপত্তা ভেদ করে চলে যায় হ্যাকারদের হাতে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন কিভাবে যায়? যদি আপনি একটু সতর্ক থাকেন তাহলে হ্যাকারদের জন্য আপনার এই নিরাপত্তা ভেদ করা কষ্টসাধ্য বটে। তো চলুন জানব কিভাবে অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা যায়।
নিরাপত্তা নিয়ে কথা শুরু করা যাক-
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি।
আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের যোগাযোগের একটা বড় মাধ্যম। হ্যাকাররা বিশেষ করে ব্যবহারকারীর দুর্বল নিরাপত্তা ভেদ করে ফেসবুক, জিমেইল, অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদির পাসওয়ার্ড বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হ্যাক করে থাকে। যার মধ্যে একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে ব্রুট ফোর্স। ক্ষেত্রে আপনার পাসওয়ার্ডটি যদি অনুমানযোগ্য হয়, তবে ব্রুট ফোর্স এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসওয়ার্ড তাদের হাতে চলে যাবে। কয়েকটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এর উদাহরণ: Morsu&@1, Kabin#$6 । আরো বেশি শক্তিশালী করতে চাইলে অবশ্যই ১২ থেকে ১৫ ডিজিটের কমপ্লেক্স পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
২. প্লে স্টোর এর বাইরে থেকে অ্যাপস ইনস্টল না করা।
সফটওয়্যার ডাউনলোডের ক্ষেত্রে বাহিরের কোন সোর্স থেকে ডাউনলোড করবেন না। অবশ্যই প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করবেন। এক্ষেত্রে আপনার ফোনে কোন প্রকার ভাইরাস বা খারাপ প্রোগ্রাম প্রবেশ করবে না। কারণ প্লে স্টোর এর সকল সফটওয়্যার প্লে প্রটেক্ট এর মাধ্যমে যাচাইকৃত।
৩. ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপ ইনস্টল ও তা একটিভ করা।
গুগল প্লে স্টোর থেকে ফাইন্ড মাই ডিভাইস সফটওয়ারটি ইনস্টল করে একটিভ করে রাখবেন এতে করে আপনার ফোন হারিয়ে গেলেও আপনার ফোনের লোকেশন ট্র্যাকিং, ফোনের নোটিফিকেশন পাঠানো, ফোনের সবকিছু মুছে দেওয়ার সুবিধা পাবেন।
৪. নিয়মিত সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট
এন্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন ধরনের আপডেট আসে। যেমন অ্যান্ড্রয়েড আপডেট, ইউ আই আপডেট, সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট। অনেকেই সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট দেন না। এক্ষেত্রে ফোনের সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট আসার সাথে সাথেই আপডেট দিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার ফোনের সিকিউরিটি আরো বেশি শক্তিশালী হবে।
৫. ইউএসবি সংযোগের সর্তকতা
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ফোনে চার্জ না থাকলে এবং আমরা দূরে কোথাও গেলে যেকোনো ইউএসবি কেবল পেলেই চার্জে লাগিয়ে দেই। এক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কেবল ঢুকানোর পর কোন পারমিশন চাইলে শুধুমাত্র চার্জিং অনলি অপশন বাছাই করবেন। এক্ষেত্রে আপনার ডেটা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
৬. অ্যাপ পারমিশন দেওয়ায় সর্তকতা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে অ্যাপ পারমিশন।
আমরা যেকোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর তা ওপেন করলে বিভিন্ন ধরনের পারমিশন চায়। যেমন: ফোন কল পারমিশন, ভিডিও পারমিশন, স্টোরেজ পারমিশন, মাইক্রোফোন পারমিশন, লোকেশন পারমিশন ইত্যাদি। যেমন ধরেন একটা ক্যালেন্ডার অ্যাপস ইনস্টল করার পর ওপেন করলেন এবং তখন দেখলেন ওই অ্যাপ এ ক্যামেরা পারমিশন চায়, মাইক্রোফোন পারমিশন চায়। তখন অবশ্যই ডিনাই করতে হবে। প্রয়োজনে সফটওয়্যারট ইন্সটল করে দিতে হবে। কারণ ওই সফটওয়্যার অবশ্যই ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তৈরি।
৭. ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকা
বর্তমানে আমরা বিভিন্ন জায়গায় গেলে দেখতে পাই ফ্রি ওয়াইফাই। তখন আমরা অনেকেই সে ওয়াই ফাই তে কানেক্ট করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করি। কিন্তু একবারও কি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছেন তার ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার মূল কারণটা কি? হতে পারে সেই ওয়াইফাই এর মাধ্যমে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য সে প্রোভাইডারের হাতে চলে যেতে পারে। তা আমি মনে করি ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার না করাই ভালো।
৮. অপ্রয়োজনে ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ অফ রাখা
প্রয়োজন শেষে অবশ্যই ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ চালু রাখবেন না। কারণ এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই অন্য কেউ আপনার তথ্য হ্যাক করতে পারে এমনকি আপনার ফোনে ভাইরাস বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দিতে পারে।
ভুল হলে অবশ্যই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ফেইসবুকে আমি : Muhammad Morsalin
The post অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা জেনে রাখুন অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি নিরাপত্তা টিপস [হট টিউন] appeared first on Trickbd.com.
0 comments: