আমরা সকলেই জানি যে, ভিজিটর হলো ওয়েবসাইটের প্রাণ ৷ ভিজিটরবিহীন ওয়েবসাইট কল্পনাও করা যায় না৷ ঠিক এই কারণে বর্তমানে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির এত প্রচেষ্টা করা হয়৷ ভিজিটরকে কেন্দ্র করেই ওয়েবসাইটের যত কাজ করা হয়৷ একটি ওয়েবসাইটকে সচল রাখতে ভিজিটর বা ট্রাফিকের কোনো বিকল্প নেই৷ প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাফিক অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বা প্রাণভোমরা স্বরুপ৷
প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে বর্তমান ভিজিটর অর্থাৎ ট্রাফিক পাওয়া দুর্বিষহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে৷
সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে আমাদের ওয়েবসাইটটি আনতে Seo করে থাকি৷
তবে হ্যাঁ, পরিকল্পিতভাবে সঠিক পন্থা অবলম্বন করলে ভিজিটর অবশ্যই বাড়াতে পারবেন৷ এজন্য আপনাকে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে৷
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য করা নিরলস পরিশ্রম ততক্ষণ পর্যন্ত সার্থক হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে একটি ভালো পরিমাণ ট্রাফিক আনতে না পারবেন৷
আপনার হাড়ভাঙা পরিশ্রম বা কষ্টকে সার্থক করতে কিংবা ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলেও আপনার ওয়েবসাইটটিতে ট্রাফিক আনা এখন খুব দরকার৷
কেননা, যতদিন পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারবেন না ঠিক ততদিন পর্যন্ত আপনি কোনো আয় করতে পারবেন না ৷ ফলে মাসের পর অতিবাহিত হবে কিন্তু, আপনি অর্থের মুখ দেখতে পারবেন না কখনোই৷
সুতরাং, অর্থোপার্জনের হোক বা পরিশ্রমের উপযুক্ত মূল্য পাওয়ার জন্যই হোক কিংবা খ্যাতি কুড়ানোর জন্যই হোক এমতাবস্থায় আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো আবশ্যক হয়ে গেছে৷
যদি-ও ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার তথাপি সঠিক পন্থা অবলম্বন করলে ভিজিটর অবশ্যই বাড়াতে পারবেন৷
আজকে এই পোস্টে , “ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ” “ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় ” ” কিভাবে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াবো? ” সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন৷
যারা ইতিমধ্যে অনেক কষ্ট করেও ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে ব্যর্থ হয়েছেন, তারা আজকের এই আর্টিকেলে দেওয়া দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, আপনি ১০০% আপনার ওয়েবসাইটে আশানুরূপ ভিজিটর বাড়াতে পারবেন৷
আর যারা প্রকৃতপক্ষে ওয়েবসাইট বা ব্লগের ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়াতে চান, তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, নতুবা আশানুরূপ ফল পাবেন না৷
কারণ, আজকের এই টিপস অনুযায়ী কাজ করলে খুব অল্প পরিশ্রমে ও সময়ের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারবেন৷
অনেক বেশি বকবক করে ফেলেছি আমি,এবার আসল কথায় আসা যাক :
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
১. সঠিক ও উপযুক্ত কী-ওয়ার্ড নির্বাচন
আপনার পোস্ট থেকে যথেষ্ট পরিমাণ আশানুরূপ ভিজিটর বা ট্রাফিক পেতে আপনাকে সঠিক কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে৷ আপনার ওয়েবসাইট কতটা র্যাংক করবে এটা সম্পূর্ণ আপনার উপযুক্ত ও সঠিক কী- ওয়ার্ড নিবার্চনের উপর পুরোটাই নির্ভর করে৷ এজন্য আপনাকে সঠিকভাবে কী ওয়ার্ড রিসার্চ করা জানতে হবে৷
তবে, এমন কোনো কী ওয়ার্ড নির্বাচন করবেন না যেগুলো আপনার থেকে খ্যাতিসম্পন্ন ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে৷ কারণ সেই ওয়েবসাইটগুলোকে টপকিয়ে পেছনে ফেলা অত সহজ ব্যাপার না৷ যদিও বা টপকাতে পারেন, কিন্তু কেউ তাদের ওয়েবসাইটকে রেখে আপনার ওয়েবসাইটকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে না৷ কারণ তাদের আর্টিকেল কোয়ালিটি সম্পর্কে তার আগে থেকেই একটা ইতিবাচক ধারণা ছিল৷ সুতরাং কেউ আপনার আর্টিকেলটি পড়বে না বরং সবাই এড়িয়ে যেতে থাকবে৷
অন্যদিকে, আপনি এমন কী ওয়ার্ড নির্বাচন করলেন যা কখনো সার্চ ইঞ্জিনে সার্চই হয় না, তখনই আপনি কোনো ট্রাফিক পাবেন না৷ আপনার সব সাধনা এবারও আগের মতই বৃথা হয়ে যাবে৷
সুতরাং, আপনাকে এমন সব কী ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যেগুলোর প্রতিযোগী বা কম্পিটিটর কম, সার্চ ইঞ্জিনে মোটামুটি সার্চ হয় এবং যেটা সার্চ ভলিউমও বেশি৷ ঠিক তখনই আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রত্যাশিত ট্রাফিক পাবেন৷
২. ইউনিক আর্টিকেল লেখা
আপনি ওয়েবসাইটে যে আর্টিকেলটি লিখবেন তা অবশ্যই ইউনিক হতে হবে৷ কারণ একই আর্টিকেল ভিজিটরা যদি অন্য কোনো ওয়েবসাইটে পড়ে আসে আপনার ওয়েবসাইটে তবে পুনরায় একই আর্টিকেল ভুলেও পড়বে না৷ তাই ওয়েবসাইটটে ভালো পরিমাণ ট্রাফিক পেতে ইউনিক পোস্ট করা অভ্যাস করুন৷ কেননা কপি পোস্ট করলে ভিজিটরা আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি মন্দ ধারণা মনে পোষণ করতে পারে৷ এতে আপনার সাইটের সুনামহানি হবে৷ অধিকন্তু, একটি সময় পরে আপনি ভিজিটর হারাতে থাকবেন৷
৩.আর্টিকেলের কোয়ালিটি বজায় রাখা
ওয়েবসাইটে ভিজিটর না বাড়ার একটা অন্যতম কারণ হলো ওয়েবসাইটে কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল না থাকা৷ এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ঢুকে কোয়ালিটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রস্থান করে বা বের হয়ে যায়৷ ফলে আমাদের ওয়েবসাইটটির বাউন্স রেট অনেক বৃদ্ধি পায়৷ ফলশ্রুতিতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে আর বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যায় সম্ভব হয় না৷ তাই আর্টিকেল লেখার সময় সর্বদা আর্টিকেলের কোয়ালিটি বজায় রাখার চেষ্টা অবশ্যই করবেন৷ নতুবা আপনি ভিজিটর পেলেও হারাবেন৷
ধরা যাক, আপনি ৭ দিন যাবৎ একটি ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখেছেন এবং সেই পোস্টটি পড়ার জন্য পুরো সপ্তাহে ১৫০ জন ভিজিটর প্রবেশ করল৷ তারা সবাই দেখল আপনার লেখা আর্টিকেলটি খুবই তথ্যবহুল, পাশাপাশি আপনার আর্টিকেলটি খুব সাজিয়ে লেখা যা পাঠককে মুগ্ধ করবে৷ যার ফলে অধিকাংশ পাঠকই অন্যান্য আর্টিকেল গুলো পাশাপাশি দেখবে সঙ্গে আপনার ওয়েবসাইটের নাম মনে রাখার চেষ্টা করবে৷ এতে করে তারা নিয়মিত আপনার সাইটটি ভিজিট করা চেষ্টা অবশ্যই করবে৷
অন্যদিকে, আপনি দৈনিক ২-৪ টা আর্টিকেল লিখলেন,কিন্তু একটা আর্টিকেলও মানসম্মত না৷ এতে করে কি হবে জানেন? এতে আপনার পোস্টগুলো কেউ পড়বে না৷ এছাড়া, ঐ ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে পুনরায় ভিজিট করা কথা চিন্তাও করবে না৷ আপনার ওয়েবসাইটের নাম মনে রাখার কথা কথা সে ভুলেও ভাববে না! ফলশ্রুতিতে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি ঐ ভিজিটরের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে৷
সুতরাং আর্টিকেলের মান বজায় রেখে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন৷
৪. নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করা
ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করার কোনো বিকল্প নেই৷
আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করলে ভিজিটররাও নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়তে আসবে৷
ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার পরিশ্রম কোনো কাজে আসবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করা শুরু করবেন৷ কারণ অনিয়মিত আর্টিকেল লিখলে কখনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে না৷
আপনি দৈনিক একটি বা প্রতি সপ্তাহে একটি বা প্রতি মাসে একটি এমন ধারাবাহিকতা মেনে যদি নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা শুরু করেন, তবে ধীরে ধীরে ভিজিটর ক্রমশই বাড়তেই থাকবে৷ ভুলেও ওয়েবসাইটে এলোপাতাড়ি পোস্ট করার চেষ্টা করবেন না৷
৫. ওয়েবাসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা
আপনার ওয়েবাসাইটে প্রত্যাশিত ভিজিটর পাওয়ার অন্যতম প্রধান উপায় হলো আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে যোগ করা৷ সার্চ ইঞ্জিন থেকে মানুষ সার্চ করে বিভিন্ন তথ্য সাধারণত খুঁজে থাকে৷ আপনার ওয়েবসাইটটি যদি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে আনতে পারেন, তবে ভালো পরিমাণ অর্গানিক ভিজিটর পাবেন৷ যার জন্য আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না৷
আপনার ওয়েবসাইটটি কী সম্পর্কিত সেই বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কোনো কী ওয়ার্ড কোনো ভিজিটর সার্চ করলেই আপনার ওয়েবসাইট চলে আসবে৷ ফলে কোনো পরিশ্রম না করেই এমনিতেই ভিজিটর পেয়ে যাবেন৷ ঠিক সেই জন্যে আপনাকে মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে এবং সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে৷
৬. আর্টিকেল সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি প্রমোট করাতে একটি প্রোফাইল তৈরি করবেন৷ আপনার বন্ধু ও ফলোয়ারদের মাঝে আপনার আর্টিকেলটি শেয়ার করুন৷ পাশাপাশি তাদের বন্ধুরাও যেন ঐ আর্টিকেল তার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে সেই কথা আপনার বন্ধু ও ফলোয়ারদের বলে দিবেন৷
তবে আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন, অধিকাংশ সময়ই আপনার বন্ধুরা আপনার আর্টিকেল শেয়ার করবে না৷ কারণ হিসেবে বলা যায়, এই আর্টিকেলে তারা কোয়ালিটি সম্পন্ন নতুন কিছু পায়নি৷ যার কারণে তারা আপনার আর্টিকেল শেয়ার করে নাই৷ আপনার বন্ধুরা যদি আপনার আর্টিকেলটি নতুনত্ব কিছু পেত ও শিখতে পারত ঠিক তখনই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিতো৷
সুতরাং, আপনাকে মানসম্মত নতুন আর্টিকেল লিখতে হবে৷ এতে করে আপনার আর্টিকেল বেশি বেশি শেয়ারের সঙ্গে সঙ্গে ভিজিটরও বাড়বে৷
৭. সোশ্যাল বুক- মার্কিং
যদিও সোশ্যাল বুক- মার্কিং ওয়েবসাইটে সরাসরি ভিজিটর পেতে তেমন কোনো সহযোগিতা করে না,তবে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের প্রথম পেজে আনতে সহায়তা করে থাকে৷ তাই নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটটির জন্যে কমপক্ষে ১০-১৫ টি হাইপেজ বুক মার্ক করে রাখুন৷ সোশ্যাল বুক- মার্কিং কাজটি আসলেই খুব সহজ৷
৮. গেস্ট ব্লগিং করা
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম সেরা মাধ্যম হলো গেস্ট ব্লগিং৷ এছাড়া এটি আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের প্রথম পেজে আনতে সহায়তা করবে৷ নিয়মিত ট্রাফিক আসে এমন একটি গেস্ট ব্লগিং ওয়েবসাইট হলো টেকটিউনস৷
এরকম ওয়েবসাইটে আপনার আর্টিকেল পাবলিশ করে ট্রাফিককে আকর্ষণ করাতে পারলে খুব সহজে ভিজিটর পাবেন৷ প্রতি সপ্তাহে এরকম ভালো পেজ র্যাংকিং ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করান৷
৯. ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা
আপনার ওয়েবসাইটটি যদি গুগলে র্যাংক করাতে চান, তবে অবশ্যই কিছু কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করুন৷এতে সঙ্গে ভিজিটরও পাবেন৷ তবে উল্লেখ্য, ব্যাকলিংকগুলো যেন অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন ওয়েবসাইট থেকে তৈরি করা হয়৷
নতুবা হাজার হাজার ব্যাকলিংক তৈরি করেও কোনো ফল পাবেন না৷ কোয়ালিটি সম্পন্ন একটি ব্যাকলিংক হাজারো নরমাল ব্যাকলিংকগুলো থেকে সেরা৷ এটা খুব ফলপ্রসূ হবে৷
১০. ইয়াহুুর প্রশ্নের উত্তর করা
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ইয়াহু আনসার৷ আপনি নিয়মিত ইয়াহু আনসার ওয়েবসাইটে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহন করে আপনার সাইটে ভিজিটের বন্যা বয়ে দিতে পারবেন৷ আপনি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক নো ফলো লিংক তৈরি করতে পারবেন৷ কারণ ইয়াহু আপনার দেওয়া সাইটের লিংকটি কখনোই ডু- ফলো লিংক হিসেবে বিবেচনা করবে না৷ তবে অনেক ভিজিটর পাবেন, এটা নিশ্চিত!
১১. ফোরামে নিয়মিত পোস্ট করা
আপনি নিয়মিত ফোরাম পোস্টিং করার মাধ্যমে আপনার স্বাক্ষর ও সাইটের লিংক ব্যবহার করে অনেক ভিজিটর পেতে পারেন৷ কিছু কিছু সাইটে সাইন আপ করার সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিতে দেয়,আবার কিছু কিছু সাইট একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর এই সুযোগ দিয়ে থাকে৷
তবে আপনি চাইলে ফোরাম সাইটের সদস্যদের বিভিন্ন রকম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের লিংক ও স্বাক্ষর দিতে পারবেন৷ যা আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে৷
১২. কমেন্ট করা
ব্লগে কমেন্ট করে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনয়ন একটি পুরাতন ও জনপ্রিয় মাধ্যম৷
কোয়ালিটি সম্পন্ন ওয়েবসাইটে কমেন্ট করে ব্যাকলিংক তৈরি ভালো পরিমাণ ট্রাফিক পেতে পারেন৷
এজন্য আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড কয়েকটি ওয়েবসাইট বাছাই করে কমেন্ট ব্লগিং আরম্ভ করেন৷
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, একটি কমেন্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে ২০-৬০ টি ভিজিটর পাওয়া যায়৷
১৩. আর্টিকেল মার্কেটিং
ওয়েবসাইটে মান সম্পন্ন ভিজিটর আনার সহজ পন্থা হলো আর্টিকেল মার্কেটিং৷ আপনার আর্টিকেল যদি মানসম্মত হয়,পাঠক পড়ে যদি সন্তুষ্ট ও আকর্ষণ অনুভব করে তবে ভিজিটরের মন জয় করে নিজের ওয়েবসাইটে আনতে পারবেন অসংখ্য ট্রাফিক৷
একটি মান সম্মত আর্টিকেল লিখতে নিম্নোক্ত বিষয় মাথায় রাখতে হবে :
► প্রথমত, ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ শব্দের মধ্যে একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হবে৷
► আটিকেলটিতে প্রাইমারি কি-ওয়ার্ডকে তিন (৩) বার ও বাকিগুলো প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে৷
► একটি ইউনিক আর্টিকেল লিখুন৷
► আপনার আর্টিকেলটি অন্য সাইটে না দিয়ে শুধু আপনার সাইটে পাবলিশ করুন। এখন আপনার অরিজিনাল আর্টিকেলটি রিরাইট করে আর্টিকেল সাবমিশন টুল ব্যবহার করে সাবমিট করতে হবে৷ ১৪. ভিডিও মার্কেটিং
ইউটিউব ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে সেই ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারেন৷ এই পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর৷ কারণ প্রচুর মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করে থাকে৷ ফলে খুব সহজেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনার ব্লগ রিলেটেড ভিডিও তৈরি করে ভিজিটর বাড়াতে পারবেন৷
১৫. স্কুইডো
আর্টিকেল লিখে অর্থোপার্জনের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সাইট হলো স্কুইডো।এই সাইটের ভিজিটর সংখ্যাও অনেক বেশি। এখানে আপনি যে নিশ সম্পর্কিত আর্টিকেল লিখতে পারবেন৷ স্কুইডো সাইটে আর্টিক্যালগুলিকে সাধারণত লেন্সেস নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। আপনি এ সাইটে কোন লেন্স পাবলিশ করলে তখন নিশের সঙ্গে মিল রেখে বিজ্ঞাপন ঐ পেজে প্রদর্শিত হবে।
আপনার লেন্সে ঐ বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে স্কুইডো যে পরিমান অর্থ আয় করবে তার অর্ধেক আপনাকে পেপাল বা অন্যান্য মাধ্যমে দেওয়া হবে৷
শেষ কথা
আপনি যদি পুরো আর্টিকেল
“ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ”
সর্ম্পূণ মনোযোগ দিয়ে পরে থাকেন, তবে এই দিকনির্দেশনা মাফিক কাজ করে যান তাহলে অবশ্যই আশানুরূপ ট্রাফিক পাবেন৷
এটা একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার! নিয়মিত আপনাকে কাজ করতে হবে৷
আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগছে। কোন সমস্যা হলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন৷ এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে দয়া করে আমার ছোট ব্লগটি ভিজিট করতে ভুলবেন না।
সৌজন্য আমার ব্লগ : আইটি আপডেট বিডি
সময় থাকলে এখনি একবার ঘুরে আসতে পারেন!
ধন্যবাদ
The post ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় appeared first on Trickbd.com.